অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক:: বঙ্গবন্ধুকে অস্থায়ী সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে মেহেরপুরের বদ্যৈনাথতলার আম্রকাননে, যা বর্তমানে মুজিবনগর।
মুক্তিযুদ্ধের এ ঐতিহাসিক নিদর্শনকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা অব্যবস্থাপনায় পর্যটনে পিছিয়ে পড়েছে মুজিবনগর। তবে জেলা প্রশাসকের আশা দ্রুত জনবল নিয়োগসহ একটি দপ্তর চালু হলে সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বদ্যৈনাথতলার আম্রকাননে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্থায়ী সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে।
মুক্তিযুদ্ধের এ নিদর্শনকে ধরে রাখতে ১৯৮৬ সালে ৭৫ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠে ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ। পাশাপাশি শপথ গ্রহণের স্থানটিতে ১৯৯৮ সালের ১৭ এপ্রিল, ৪২ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মারক ম্যূরাল, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স যেখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ এবং পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণসহ নানা ঘটনার ভাস্কর্য। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনায় জৌলুস হারাতে বসেছে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানটি।
এদিকে দিনদিন পর্যটকদের ভিড় বাড়লেও পর্যটন বান্ধব হিসেবে আজও গড়ে ওঠেনি মুজিবনগর। তাদের অভিযোগ, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও।
তবে মুজিবনগর থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন জানালেন, আনসারদের সাথে নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে । আর জেলা প্রশাসক মো: সফিকুল ইসলাম শিগগিরই জনবলসহ এখানে একটি দপ্তর চালু হলে সমস্যা থাকবে না বলে আশ্বাস দিলেন।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে এখানে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজার দর্শনার্থী। তবে প্রতি বছর ১৭ এপ্রিল, মুজিবনগর দিবসে আসেন প্রায় ২ লাখ মানুষ।